কার রঙ কি…
# ওয়াটার বাইক ‘হলুদ’
# বীচ বাইক ‘কমলা’
# ফটোগ্রাফার ‘লাল’
# দোকানদার ও কীটকট ব্যবসায়ী ‘নীল’
ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজারকে আরো বেশী পর্যটনবান্ধব করতে নানামূখী উদ্যাগ গ্রহন করছে জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে বীচ এলাকার ওয়াটার বাইক, বীচ বাইক চালক, ফটোগ্রাফার, দোকানদার ও কীটকট ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত ইউনিফর্ম অনুসরণ না করলে কার্ড বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটৌকল শাখা সুত্রে জানা গেছে- ওয়াটার বাইক ‘হলুদ’, বীচ বাইক ‘কমলা’, ফটোগ্রাফার ‘লাল’, দোকানদারও কীটকট ব্যবসায়ীরা ‘নীল’ রঙের পোষাক পরবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য দেয়া হয়েছে আলাদা নাম্বার। নির্ধারিত ইউনিফর্ম ছাড়া বীচ এলাকায় কেউ ব্যবসা করলে তাদের কার্ড বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটৌকল শাখার কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়।
তিনি বলেন, কে পর্যটক, আর কে সেবা প্রদানকারী তা অনেক সময় চেনা সম্ভব হয়না। ফলে হয়রানীর শিকার পর্যটকদের প্রতিকার দেয়া কঠিন হয়ে যায়। বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করেছে।
তিনি জানান, সমুদ্র সৈকতে সেবা প্রদানকারী প্রত্যেককে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদানকৃত নাম্বার সম্বলিত নির্দিষ্ট রঙের পোষাক পরিধান করতে হবে। যে কোন পর্যটক অভিযোগ দেওয়ার সময় পোষাকের রঙ এবং নাম্বার বলতে পারলে জেলা প্রশাসন অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সাইফুল ইসলাম জয় মনে করেন, নির্ধারিত পোষাক সমুদ্র সৈকতকে আরো আকর্ষনীয় করবে। পর্যটনশিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিয়ম মেনে চলতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযুগি মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাত। তিনি বলেন, অনেক দিন পরে হলেও জেলা প্রশাসন অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এটি প্রশাসনের চিন্তাশক্তির গভীরতা ও সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি মনে করেন, এমন নতুন ভাবনাগুলো কক্সবাজারকে সমৃদ্ধ করছে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।